খুলনার সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তারকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক মো: মঞ্জুরুল ইমাম। সোমবার ডিসকো সাত্তার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে এই নির্দেশ দেন আদালত।
হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিল। সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে।
খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে মির্জাপুর সংযোগস্থলে মানিক সাহাকে কতিপয় সন্ত্রাসী বোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করে। দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালে আদালত এ হত্যা মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদান্ড প্রদান করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৯ জন হলেন, সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো: মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হয় ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় সে উল্লেখ করেছে, জীবন এবং জীবীকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেনি এবং রায়ের বিষয়টি অবগত ছিল না। বিষয়টি অবগত হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করে দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ট্রাইবুনাল। রায় ঘোষণার পর থেকে ৯ বছর ফেরার জীবন যাপন করেছে সে।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দুদিন পর ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন।